বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার
সরকার, সুশীল সমাজ, আন্তর্জাতিক দাতা এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে যৌথ সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এই অঞ্চলে, বিশেষ করে বিস্তীর্ণ বরেন্দ্রভূমিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব প্রশমনের গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে। গত কয়েক বছরে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ধীরে ধীরে মানুষের জীবন-জীবিকার অবস্থা, বিশেষ করে প্রান্তিক ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব প্রশমিত করার মাধ্যমে পরিমাপযোগ্য এবং টেকসই জলবায়ু সমাধানকে সমর্থন করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিটি সেক্টরের শক্তিকে কাজে লাগাতে উৎসাহী অংশীদারিত্বকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য লিঙ্গ-সংবেদনশীল জলবায়ু সমাধান’ শীর্ষক জেলা পর্যায়ের সেমিনারে সরকারি কর্মকর্তা ও উন্নয়ন কর্মীরা তাদের এসব মতামত তুলে ধরেন।
ড্যাসকোহ ফাউন্ডেশন তাদের ‘দক্ষিণ এশিয়ায় গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার মারাত্মক প্রভাবিত অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা (টিইসিএসই) প্রকল্প’ এর পক্ষ থেকে বিএমজেড ও নেটজ বাংলাদেশ’র সহায়তায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কনফারেন্স হলে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সভায় বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর সমাজের সব মহলকে সচেতন করার জন্য ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো দরকার এবং সহনশীলতা বৃদ্ধিতে লিঙ্গ সমতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনের গুরুত্ব তুলে ধরাও প্রয়োজন।
ড্যাসকোহ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকরামুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন র জেলা প্রশাসক আবদুস সামাদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য্য রাখেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক উম্মে কুলসুম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. পলাশ সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ ও ধারণাপত্র উপস্থাপনের সময় নেটজ্ বাংলাদেশ’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শেখ জাকির হোসেন এবং ড্যাসকোহ ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম খান প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং বাস্তবায়ন কৌশলের চিত্র তুলে ধরেন।
সভায় বক্তারা বলেন, খরাপ্রবণ অঞ্চলে পূর্বে যেভাবে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তার চেয়ে দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে।
আকরামুল হক মতামত দেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের এসব প্রভাব তীব্রতর হচ্ছে- যা জীবিকা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সামাজিক সমতার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে, বিশেষ করে সীমিত আয়ের জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে একথা প্রযোজ্য।
জেলা প্রশাসক আবদুস সামাদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় টেকসইত্ব ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আশু পদক্ষেপ এবং দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা- এই দু’য়ের সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করা অপরিহার্য।